অ্যাস্থমায় ইনহেলার ব্যবহার করুন নির্বিঘ্নে-বলছেন চিকিত্সকরা

Image result for pic of asthma and inhalers

৩০ এপ্রিল বিশ্ব অ্যাস্থমা দিবসের ষাট বছরে ইনহেলেশন থেরাপির উপর জোর দিলেন চিকিত্সকরা। হাঁপানির প্রভাব জীবনধারণের ক্ষেত্রে সমস্যার সৃষ্টি করে। আধুনিক চিকিত্সা বি়জ্ঞান বলছে চিকিত্সকের  পরামর্শ মতো নিয়মিত সঠিক ইনহেলারের ব্যবহার রোগীর স্বাভাবিক জীবনযাপনে অনেকটাই কার্যকরী।  বিশ্ব অ্যাস্থমা দিবসে ললিত গ্রেট ইস্টার্নে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে ইনহেলার ব্যবহার নিয়ে মানুষের নানান ভ্রান্ত ধারণা ভেঙে দিলেন চিকিত্সকরা। কলকাতা ন্যাশনাল মেডিকেল কলেজের পালমোনোলজি ডিপার্টমেন্টের হেড অফ্ দ্য ডিপার্টমেন্ট  ডঃ শুভ্র মিত্রর মতে – এখন ইনহেলেশন থেরাপি আ্যস্থমা চিকিত্সার মূল ভিত্তি। নিঃশ্বাসের মাধ্যমে নেওয়া ওষুধ হাঁপানি রোগের বিরুদ্ধে ব্যবস্থাপনায় অবিচ্ছেদ্য অঙ্গ। তারা সরাসরি ফুসফুসে দ্রুত পৌছে দেয় এবং কম ডোজে কাজ করে যার ফলে পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়ার ঝুঁকি কম থাকে। ইনস্টিটিউট অফ্ চাইল্ড হেলথের অ্যাসিস্টান্ট প্রফেসর শিশু বিশেষজ্ঞ ডঃ হৃতব্রত কুণ্ডুও ইনহেলেশন থেরাপির উপরই জোর দিলেন। তাঁর আরও মত ইনহেলার ভুলভাবে ব্যবহার করেন অনেক রোগী। অনেকে আবার ইনহেলারে ব্যবহৃত ওষুধ মুখে খাওয়া শুরু করেন। যা ভয়ানক। এশিয়া প্যাসিফিক অ্যাস্থমা ইনসাইটস্ ম্যানেজমেন্টের সার্ভে অনুযায়ী ভারতে সমস্ত হাঁপানী রোগই হয় অনিয়ন্ত্রিত বা আংশিকভাবে নিয়ন্ত্রিত। বাজে ইনহেলার টেকনিক য়ার প্রধান কারণ। তাই সঠিকভাবে ইনহেলার ব্যবহার করুন। ইনহেলার ব্যবহারের সময হাত পরিস্কার রাখুন। চিকিত্সকের পরামর্শ মতো নিয়মিত ইনহেলার ব্যবহারে আপনি বা আপনার শিশু অন্য সবার মতো স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারেন। সুতরাং বাঁচুন আনন্দে।